আজ প্রায় কয়েক যুগ আগের কথা-
পূর্ব পাকিস্থান আর পশ্চিম পাকিস্থান
দুই প্রদেশ মিলে ছিল দেশ পাকিস্থান।
কায়েছে আযম মোঃ আলী জিন্না ছিলেন জাতীর পিতা
রাষ্ট্রভাষা উর্দু চেয়ে বাঙ্গালী মনে দিয়েছিল ব্যথা।
অভাগা বাঙ্গালী ছিলাম মোরা পূর্ব পাকিস্থানী
নির্দয় লোভী উর্দু ভাষী ছিল তারা পশ্চিম পাকিস্থানী।
পশ্চিমা গোষ্টির লিয়াকত, আইয়ুব, ইয়াহিয়া খান
দেশ ত্যাগি শাসক ছিল ইসকান্দর মির্জা খান।
খানে খানে মিলে রাজ্য ভার করিত আদান প্রদান
দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বাঙ্গালী হাতে রাজ্য ভার করিবেনা প্রদান।
বিমাতা সুলভ আচরণ বাঙ্গালী সাথে করিত সদায়
বুঝে বাঙ্গালী তা, ক্ষমতা চাইল করিতে আদায়।
সংখ্যা গরিষ্ঠ হইল আওয়ামী-লীগ নির্বাচনে-
তবু নিষ্ঠুররা মুজিব কে দিলেনা বসতে সিংহাসনে।
৭ই মার্চ ’৭১ সন, রেস কোর্সে শেখে দিলেন ভাষণ
যে কোন মূল্যে দখল করতে হবে ঐ সিংহাসন।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বন্ধ করিল অফিস আদালাত
দেশ বিদেশে খবর হইল রেডিও পত্রিকা মারফত।
ক্ষিপ্ত হইল বাঘা বাঙ্গালী, নিতে চাইলো অধিকার
ফয়সালা দিতে ছুটে এলো ধূর্ত পাক সরকার।
তালবাহানার কত চাল, চাললো গোল টেবিলে বসি
ভুট্টো ইয়াহিয়া ছাড়বেনা রাজত্ব জেদ ধরল কষি।
রাজধানী ঢাকা নগরী ঘুমেতে ছিল অচেতন
২৫শে মার্চ মধ্য রাতে বেঈমানরা করল গুলি বর্ষণ।
ছুড়ল কামান বন্দুক, করল ব্রাশ ফায়ার
কত নরনারী-শিশুবুড়ো ঘুমেতেই হলো সাবাড়।
অলিতে গলিতে আকাশে বাতাসে ওঠে কান্নার রুল
পালালো ঢাকা ছেড়ে লোকজন করে সোর গুল।
বাঙ্গালীর গায়ে যুদ্ধ চাপালো বেঈমান পাকিস্থানী
বন্দী করে নিলো মুজিব কে, বিশ্বে হলো জানাজানি।
বিমানে ওঠায়ে নিলো তারে রাতের গভীর আঁধারে
আটক করে রাখলো তাঁরে নির্জন পাক কারাগারে।
নেতাহারা বাঙ্গালী চোখে দেখলো ঘোর আঁধার
অস্ত্র তুলে নিলো ছিলো যত বাঙ্গলার আনসার বি-ডি-আর।
উড়াইলো স্বাধীন বাঙ্গলার স্বাধীন পতাকা মুজিবনগর
২৬শে মার্চ ১৯৭১ সন সারা বিশ্ব পেলো এই খবর।
মুজিবের পক্ষে মেজর জিয়া দেয় স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র
ভারত প্রথম স্বীকৃতি বাংলাদেশ হয় পবিত্র।
অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি দানে শক্ত হয় জিত
গর্জে ওঠে বাঙ্গালী শিক্ষা দিতে পশ্চিমাদের সমোচিত।
নিরীহ বাঙ্গালী ধরে ধরে মারে পক বাহিনী।
পত্রিকা বেতারে জানা জানি হইলো এই কাহিনী
শরর্নাথী হয়ে বাঙ্গালী ভারত করে পলায়ন
পাক বাহিনীর গুলিতে রাস্তায়ই হলো অনেকের মরণ।
অধীর হইয়া সেনাধীনায়ক কর্ণেল ওসমানী
গড়িল ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক নিয়ে মুক্তি বাহিনী।
শুরু হইলো মুক্তি যুদ্ধ বাঙ্গলার আনাচে কানাচে
রণ হুংকারে রনরাদ্য বাজাইয়া পাকসেনারা নাচে।
আগুন দিয়ে পোঁড়াইলো, ভাঙ্গিল দালান কোঠা কত
মদদ যোগালো বাংলার আলবদর রাজাকার ছিল যত।
চালাইলো পাক সেনারা স্টেনগান আর ম্যাশিন গান
কেঁড়ে নিলো বর্বররা বাংলার তাজাতাজা প্রাণ।
কত মা, কত বোনদের ইজ্জত লুটে ছিলো তারা
পিছু হটিলনা তবু বাঙ্গালী হইয়া সর্বহারা।
দাম্ভিক, ক্ষিপ্ত, বীর বাঙ্গালী অস্ত্র তুলিল হাতে
মহেশ খলায় ট্রেনিং নিয়ে পাকসেনা মারে রাতে।
ওতপাতি ঝুঁপ ঝাড়ে খালে আর বিলে বসি মুক্তির দল
গুলি দিয়ে পাক সেনা করিতে লাগিল কতল।
আচমকা গুলি এলো কে-বা-তা মারিল
বুঝিতে পারিলোনা কিছু পাকসেনা সারি সারি মরিল
জীবন বাজি রাখি মুক্তির দল লড়িল পাকসেনা সনে
টনক নড়ল ইয়হিয়ার বার্তা শুনি বসি পাকিস্থানে।
অবস্থা বেগতিক দেখি টিক্কা খান এলো রাগে
রাজাকার আলবদর বেঈমানের সাহায্য মাগে
পাকিস্থান পন্থী বেঈমানরা সাহায়তা করে টিক্কাকে
পথ দেখিয়ে নেয় আর মারে, পায় যাকে তাকে।
অসীম সাহস নিয়ে লড়িতে লাগিল মুক্তির দল
নদীর স্রোতে গুলি খেয়ে ভাসে পাক সেনার দল।
বুঝিল পরাজয় অবশ্যম্ভাবী মুক্তির হাতে
ধরে এনে বুদ্ধিজীবি সাহিত্যিক মারিল রাতে।
রায় বাজারে গণকবর খুঁড়ি রাখিল শত শত লাশ
ভাবেনি কবু তারা এগুলো এক দিনই হবে প্রকাশ।
চেয়ে ছিলো বন্দী মজিবকে করিতে কতল
বিশ্ব চাপ ভয়ে তাও হইলোনা সফল।
দিন যায় মাস যায় যুদ্ধের গতি চলল বেড়ে
চার দিক থেকে মুক্তিরা পাক সেনা নেয় ঘিরে।
চতুর্দিকে তাড়া খেয়ে পাকসেনা ঢাকায় ভিড়ে
শিকারীর জালে মাছ যে ভাবে আটকা পড়ে।
বাংলার কিছু বেঈমান ভয়ে পালায় পাকিস্থানে
ভেবেছিলো বুজি বেঁচে গেলো তারা জীবনে।
১৬ই ডিসেম্বর ’৭১ইং রেইসকোর্স ময়দানে বেলা দ্বিপ্রহরে
গর্বিত পাক সেনাপতি নিয়াজী আত্মসমর্পণ করে
মিত্রশক্তি অরু রায়ের কাছে মাথা নত করে
বিজয় ডংকা বাজিয়া উঠিল সোনার বাংলা গানে।
জয় বাংলা ধ্বনি ওঠে বাংলার আকাশে বাতাসে
শত বেদনার মাঝেও বাঙ্গালী তালি বাজিয়ে হাসে।
সাঙ্গ হইলো এইভাবে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ
দু’হাত তোলে দোয়াকরে ছেলে যুবা বৃদ্ধ।
স্বর্নাক্ষরে লিখা রবে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের কথা
ভুলবেনা বাঙ্গালী, পশ্চিমাদের দেওয়া ব্যথা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পূর্ব পাকিস্থান আর পশ্চিম পাকিস্থান
দুই প্রদেশ মিলে ছিল দেশ পাকিস্থান।
কায়েছে আযম মোঃ আলী জিন্না ছিলেন জাতীর পিতা
রাষ্ট্রভাষা উর্দু চেয়ে বাঙ্গালী মনে দিয়েছিল ব্যথা।
অভাগা বাঙ্গালী ছিলাম মোরা পূর্ব পাকিস্থানী
নির্দয় লোভী উর্দু ভাষী ছিল তারা পশ্চিম পাকিস্থানী।
পশ্চিমা গোষ্টির লিয়াকত, আইয়ুব, ইয়াহিয়া খান
দেশ ত্যাগি শাসক ছিল ইসকান্দর মির্জা খান।
খানে খানে মিলে রাজ্য ভার করিত আদান প্রদান
দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বাঙ্গালী হাতে রাজ্য ভার করিবেনা প্রদান।
বিমাতা সুলভ আচরণ বাঙ্গালী সাথে করিত সদায়
বুঝে বাঙ্গালী তা, ক্ষমতা চাইল করিতে আদায়।
সংখ্যা গরিষ্ঠ হইল আওয়ামী-লীগ নির্বাচনে-
তবু নিষ্ঠুররা মুজিব কে দিলেনা বসতে সিংহাসনে।
৭ই মার্চ ’৭১ সন, রেস কোর্সে শেখে দিলেন ভাষণ
যে কোন মূল্যে দখল করতে হবে ঐ সিংহাসন।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বন্ধ করিল অফিস আদালাত
দেশ বিদেশে খবর হইল রেডিও পত্রিকা মারফত।
ক্ষিপ্ত হইল বাঘা বাঙ্গালী, নিতে চাইলো অধিকার
ফয়সালা দিতে ছুটে এলো ধূর্ত পাক সরকার।
তালবাহানার কত চাল, চাললো গোল টেবিলে বসি
ভুট্টো ইয়াহিয়া ছাড়বেনা রাজত্ব জেদ ধরল কষি।
রাজধানী ঢাকা নগরী ঘুমেতে ছিল অচেতন
২৫শে মার্চ মধ্য রাতে বেঈমানরা করল গুলি বর্ষণ।
ছুড়ল কামান বন্দুক, করল ব্রাশ ফায়ার
কত নরনারী-শিশুবুড়ো ঘুমেতেই হলো সাবাড়।
অলিতে গলিতে আকাশে বাতাসে ওঠে কান্নার রুল
পালালো ঢাকা ছেড়ে লোকজন করে সোর গুল।
বাঙ্গালীর গায়ে যুদ্ধ চাপালো বেঈমান পাকিস্থানী
বন্দী করে নিলো মুজিব কে, বিশ্বে হলো জানাজানি।
বিমানে ওঠায়ে নিলো তারে রাতের গভীর আঁধারে
আটক করে রাখলো তাঁরে নির্জন পাক কারাগারে।
নেতাহারা বাঙ্গালী চোখে দেখলো ঘোর আঁধার
অস্ত্র তুলে নিলো ছিলো যত বাঙ্গলার আনসার বি-ডি-আর।
উড়াইলো স্বাধীন বাঙ্গলার স্বাধীন পতাকা মুজিবনগর
২৬শে মার্চ ১৯৭১ সন সারা বিশ্ব পেলো এই খবর।
মুজিবের পক্ষে মেজর জিয়া দেয় স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র
ভারত প্রথম স্বীকৃতি বাংলাদেশ হয় পবিত্র।
অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি দানে শক্ত হয় জিত
গর্জে ওঠে বাঙ্গালী শিক্ষা দিতে পশ্চিমাদের সমোচিত।
নিরীহ বাঙ্গালী ধরে ধরে মারে পক বাহিনী।
পত্রিকা বেতারে জানা জানি হইলো এই কাহিনী
শরর্নাথী হয়ে বাঙ্গালী ভারত করে পলায়ন
পাক বাহিনীর গুলিতে রাস্তায়ই হলো অনেকের মরণ।
অধীর হইয়া সেনাধীনায়ক কর্ণেল ওসমানী
গড়িল ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক নিয়ে মুক্তি বাহিনী।
শুরু হইলো মুক্তি যুদ্ধ বাঙ্গলার আনাচে কানাচে
রণ হুংকারে রনরাদ্য বাজাইয়া পাকসেনারা নাচে।
আগুন দিয়ে পোঁড়াইলো, ভাঙ্গিল দালান কোঠা কত
মদদ যোগালো বাংলার আলবদর রাজাকার ছিল যত।
চালাইলো পাক সেনারা স্টেনগান আর ম্যাশিন গান
কেঁড়ে নিলো বর্বররা বাংলার তাজাতাজা প্রাণ।
কত মা, কত বোনদের ইজ্জত লুটে ছিলো তারা
পিছু হটিলনা তবু বাঙ্গালী হইয়া সর্বহারা।
দাম্ভিক, ক্ষিপ্ত, বীর বাঙ্গালী অস্ত্র তুলিল হাতে
মহেশ খলায় ট্রেনিং নিয়ে পাকসেনা মারে রাতে।
ওতপাতি ঝুঁপ ঝাড়ে খালে আর বিলে বসি মুক্তির দল
গুলি দিয়ে পাক সেনা করিতে লাগিল কতল।
আচমকা গুলি এলো কে-বা-তা মারিল
বুঝিতে পারিলোনা কিছু পাকসেনা সারি সারি মরিল
জীবন বাজি রাখি মুক্তির দল লড়িল পাকসেনা সনে
টনক নড়ল ইয়হিয়ার বার্তা শুনি বসি পাকিস্থানে।
অবস্থা বেগতিক দেখি টিক্কা খান এলো রাগে
রাজাকার আলবদর বেঈমানের সাহায্য মাগে
পাকিস্থান পন্থী বেঈমানরা সাহায়তা করে টিক্কাকে
পথ দেখিয়ে নেয় আর মারে, পায় যাকে তাকে।
অসীম সাহস নিয়ে লড়িতে লাগিল মুক্তির দল
নদীর স্রোতে গুলি খেয়ে ভাসে পাক সেনার দল।
বুঝিল পরাজয় অবশ্যম্ভাবী মুক্তির হাতে
ধরে এনে বুদ্ধিজীবি সাহিত্যিক মারিল রাতে।
রায় বাজারে গণকবর খুঁড়ি রাখিল শত শত লাশ
ভাবেনি কবু তারা এগুলো এক দিনই হবে প্রকাশ।
চেয়ে ছিলো বন্দী মজিবকে করিতে কতল
বিশ্ব চাপ ভয়ে তাও হইলোনা সফল।
দিন যায় মাস যায় যুদ্ধের গতি চলল বেড়ে
চার দিক থেকে মুক্তিরা পাক সেনা নেয় ঘিরে।
চতুর্দিকে তাড়া খেয়ে পাকসেনা ঢাকায় ভিড়ে
শিকারীর জালে মাছ যে ভাবে আটকা পড়ে।
বাংলার কিছু বেঈমান ভয়ে পালায় পাকিস্থানে
ভেবেছিলো বুজি বেঁচে গেলো তারা জীবনে।
১৬ই ডিসেম্বর ’৭১ইং রেইসকোর্স ময়দানে বেলা দ্বিপ্রহরে
গর্বিত পাক সেনাপতি নিয়াজী আত্মসমর্পণ করে
মিত্রশক্তি অরু রায়ের কাছে মাথা নত করে
বিজয় ডংকা বাজিয়া উঠিল সোনার বাংলা গানে।
জয় বাংলা ধ্বনি ওঠে বাংলার আকাশে বাতাসে
শত বেদনার মাঝেও বাঙ্গালী তালি বাজিয়ে হাসে।
সাঙ্গ হইলো এইভাবে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ
দু’হাত তোলে দোয়াকরে ছেলে যুবা বৃদ্ধ।
স্বর্নাক্ষরে লিখা রবে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের কথা
ভুলবেনা বাঙ্গালী, পশ্চিমাদের দেওয়া ব্যথা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~